আজ সোমবার কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে এই রায় দেন। হত্যাকাণ্ডের ১৮ মাসের মাথায় এ রায় দিলেন আদালত।
আদালত বলেছেন, হত্যা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, লাথি মারা, সহযোগিতায় হত্যা, মৃত্যু নিশ্চিত, আলামত নষ্ট, খুন ও মাদক মামলা করে অপরাধ করেছেন প্রদীপ। পাশাপাশি লিয়াকত গুলি করে হত্যা, নাটক সাজানো, হত্যার পরিকল্পনা করা, শাস্তিমমূলক অপরাধ করেছেন।
এ ছাড়া এ মামলার ৬ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৭ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
এর আগে বেলা ২টা ২০ মিনিটে এজলাসে উপস্থিত হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাঈল ৩০০ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়া শুরু করেন।
সোমবার সকালে এই মামলার সকল আসামিকে আদালতে আনার কথা থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করা হয়। পরে দুপুর ১টা ৫৭ মিনিটের দিকে আসামিদের আদালতে আনা হয়। তাঁদের আদালতের কাঠগড়ায় নেওয়া হয়। সাবেক ওসি প্রদীপ আদালতে উপস্থিত হয়েছেন ধূসর রঙের সোয়েটার আর নেভী ব্লু রংয়ের প্যান্ট পরে। এজলাসের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।
রায়কে কেন্দ্র করে আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রায় শুনতে আদালতে রয়েছে উৎসুক জনতার ভিড়। তাঁদের বেশিরভাগই টেকনাফের বাসিন্দা।
এদিকে সাবেক ওসি প্রদীপের ফাঁসির দাবিতে সকাল থেকেই আদালত চত্বরে মানববন্ধন করছেন টেকনাফের সাধারণ মানুষজন।
আদালত পাড়ায় সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৮টার দিকে প্রায় শতাধিক পুলিশ সদস্য জজ কোর্ট এলাকার চারদিকে প্রতিবন্ধকতা (ব্যারিকেড) দিয়ে রাখেন। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলা পুলিশ আদালতে প্রবেশের একটি ফটক পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। পরে ঠিক নয়টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্ব সদস্যরা আদালত ছাড়েন।
পরে আবার বেলা ১টা থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বেলা দেড়টায় হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দিয়ে মিডিয়াকর্মী ছাড়া বাকিদের আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে যেতে অনুরোধ করেন।